সীমান্ত এবং কবিতা
- শাহানারা সুলতানা তানিয়া ২৭-০৪-২০২৪

সীমান্ত
পারাপারের পথ রুখো না
আমার এ যাত্রা,
অগ্নিরথ সম্মোহনে শাণিত তরবারী ।
পানপাত্র রাত্রির বিষাদে আক্রান্ত
ভোরের রবি আমাকে ডাকছে
তুমি বৃষ্টি হয়োনা প্রিয় ।
আমি পারবোনা ফেরাতে তোমার ডাক
পারবোনা ভোরের রবির বিষাদ হতে ।
সীমান্ত
অদেখায় জেগেছিল প্রাচীন সব্যসাচী
মুকুটে তার ভেজা রক্তের দাগ
আমি কি তার মিত্র হতে পারিনা...?
পুরুষকুল শুধু নিজেরেই বুঝে
ঘরের লক্ষ্মী অসহায়ের প্রাণসেবক,
তাতেও তাদের দ্বিধা
তুমি তাদের মতো হয়োনা প্রিয় ।
সীমান্ত
নীল চেয়েছিলাম,
আকাশ এনে দিয়েছিলে ।
বৃষ্টির জলের ঘ্রাণ নিতে চুপি চুপি গিয়েছিলাম
দক্ষিণের খোলা বারান্দায় ।
আমার বৈরীগৃহ বর্ষায় সিক্ত করেছিলে
কাঁচের চুড়ি হয়ে ঝরছিল শ্রাবণ ধারা
আর তুমি....!
বিভোর হয়ে তার সুধা পানে মত্ত ছিলে ।
চোরাবালি আমার বিপদের কারণ ছিল
আমি চঞ্চল ছিলাম বলে ।
পাখির মত ডানা মেলে উড়তে চেয়েছিলাম
তুমি হাওয়ার সাথেও মিত্রতা করেছিলে ।
সীমান্ত
আজ যখন একটি প্রাণের সেবক হতে চেয়েছি
কেন অশ্রুতে তোমার আঁখি ভাসে ।
শতাব্দীর কলহের স্বীকার
এই মৃতপ্রায় কবিতা ।
আমি চার দেয়ালের সাথেই মিত্রতা করে নিয়েছি
শুধু চলে যাওয়ার কথা ভাবতে পারিনা ।
সীমান্ত
আমি যখন থাকবোনা
একটা শতাব্দী ব্যর্থ হবে একজন কবির অভাবে
হেমলকে আত্মাহুতি দিবে কবিতা ।
তার যে প্রাণ চাই,
মৃত দেহ নিয়ে সে কিকরে জুড়াবে তোমার হিয়া ।
একটি কবর একটি কবিতা হবে
একটি কবিতা একটি আর্তনাদ হবে
একটি আর্তনাদ একটি প্রজন্ম হবে
ব্যর্থ রাষ্ট্রের বলি হবে
আরো একটি শতাব্দী ।
তুমি কি তাও চুপ করে দেখবে.....?
সীমান্ত...
সীমান্ত.....
.
.
অতঃপর জন্ম হলো একটি কবিতার
সীমান্ত,
আজ কবিতা তোমার হলো
তুমি হলে কবিতার ।
আর আমি.....?
আমরা হলাম কারিগর
জীবনের কারিগর,
শুধু গড়ে তুলেই শেষ আমাদের প্রয়োজনীয়তা ।
সীমান্ত,
আমার উৎসর্গ কবিতা
শুধু যত্ন করে রেখো ।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।